স্টাফ রিপোর্টার : বরগুনায় ওয়ারিশ সুত্র দ্বাবি করে একই বংশের আপন তিন ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে দুটি পক্ষের সংঘর্ষে গৃহবধূসহ আহত প্রায় ৮জন। এর মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এবং সুবিদখালী হাসপাতালে মোট পাঁচ জন ভর্তি রয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা প্রদান করেছেন। রবিবার বিকেলে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদ বাড়িয়া ইউনিয়নের ০১ নং ব্লক এর তাঁরাবুনিয়া গ্রামে জমিজমাকে কেন্দ্র করে আপন তিন ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে দুইটি গ্রুপ হয়ে পাল্টা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় ৮জন। এদের মধ্যে বর্তমানে হাসপাতালে ৫জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার জমিজমার ভাগ বন্টনকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের মধ্যে কথা—কাটাকাটির পর মারামারি হয়। সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে রবিবার বিকেলে আবারও দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডায় জরিয়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় ৮জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, মোঃ আবু হোসেন মুসুল্লির স্ত্রী খুশি, পুত্রবধূ সৈয়দা নুসরাত জাহান সান্তা(২৪), মেয়ে রিংকু আক্তার, কাওসার, এবং মজিবুর মুসুল্লির স্ত্রী মেহরন বেগম (৪৫), মেয়ে মর্জিনা (২৫), মাহফুজা(২২), তামান্না (১৯)। আবু হোসেন এর পূত্রবধু সৈয়দা নুসরাত জাহান সান্তা বলেন, আমার শাশুড়ি ও ননদকে মারধর করে দেখে দৌড়ে গিয়ে তাদেরকে রক্ষা করতে চাইলে হঠাৎ আমার চাচাতো ননদরা পিছন থেকে আমার মাথার উপরে দা দিয়ে কোপ দেয়! আমি ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পরেযাই! সেখান থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা প্রদান করেন। আমার উপরে কেন এভাবে হামলা চালিয়েছে আমি এর সঠিক বিচার চাই! আবু হোসেন এর মেয়ে রিংকু আক্তার বলেন, ওরা শনিবার দিনও আমাকে ও আমার মাকে মারধর করেছে! পরের দিন এবিষয়ে নিয়ে আবারও ওরা বাগবিতণ্ডায় জরিয়ে আমাকে মারধর করছে! এটা দেখে মা ও ছোট ভাই দৌড়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করেছে! আমাদের বাঁচাতে আমার ভাইয়ের বউ দৌড়ে গেলে তাকে পিছন থেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। পরে ওখান থেকে উদ্ধার করে ভাবিকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে! এবং আমরা প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা প্রদান করেছি!
মুঠোফোনে ইকবাল জানান, আমাদের বিরুদ্ধে ওরা যে অভিযোগ চাপিয়ে দিচ্ছে এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওরাই আমাদের উপরে প্রথম হামলা চালায়। তাতেও আমরা কিছু বলিনি। পরে দ্বিতীয়বার আবারো ওরা আমার বোনেরা পানি আনতে টিউবওয়েলে গেলে সেখানে বসে ওদের উপরে হামলা করে। তখন আমরা দৌড়ে গেলে ওরা আমাদের উপরেও হামলা চালায়। মুঠোফোনে মজিবুর মুসুল্লি বলেন, দ্বিতীয় দিনের মারামারির ঘটনায় আমি স্থানে উপস্থিত ছিলাম না! তবে প্রথম দিন শনিবার ভাগবটরা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওখানে মারামারির ঘটনাও ঘটে। আমরা ওদেরকে আহত করিনি। হয়তো দু’পক্ষের হাতাহাতির সময় ওদের লাঠির আঘাতে ওদের শরীর / মাথায় ক্ষত হয়েছে। সুবিদখালী হসপিটালে আমার পরিবারে চারজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছে!
এবিষয়ে বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কোন প্রকার অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply