স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল বরগুনার বিজ্ঞ চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালত দের বছরের এক শিশু হত্যা মামলার ৪ আসামীকে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। একই পরিবারের অন্য এক আসামী পলাতক। হৃদয় বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে গতদ ৬/১০/২০২১ ইং তারিখ বরগুনা সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামে। মামলা ও বাদীর বক্তব্য সূত্রে জানাযায় ওই গ্রামের মৃত বেলায়েত মাষ্টারের পুত্র মোঃ মনিরুল ইসলামের (৪৫) সাথে বাদী বরগুনা কলেজ রোডস্থ মৃত চাঁনখার মেয়ে ইসমোতারা কলির (৩০) সাথে ২৪/০৫/২০১৩ সালে বিবাহ হয়। এরই মধ্যে তাদের কোল জুরে ২টি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। শিফা আমিন (৪) ও আদিবা আমিন দের বছর। স্ত্রী ও ২ সন্তানকে রেখে মোঃ মনিরুল ইসলাম পরকীয়ায় জড়িয়ে গোপনে ২য় বিয়ে করে।
বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে পরিবারের মধ্যে অশান্তি দেখা দেয়। স্বামী মনিরুল স্ত্রী ও ২ সন্তানের কোন খেজ খবর না নেয়ায় স্ত্রী ইসমোতারা বেগম বরগুনার বিজ্ঞ নারী শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে। এতে স্বামী ও তার আত্মীয় স্বজনরা ক্ষীপ্ত হয়ে গত ০৬—১০—২০২১ ইং তারিখ দুপুরে ছোট মেয়ে আবিদা আমিনকে গলা টিপে হত্যা করে বাড়ি পাশে একটি ডোবায় ফেলে রাখে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত শিশু কন্যাটিকে উদ্ধার করেন।
ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শিশু আবিদা আমিনকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রমাণ মিলে।
মা ইসমাত আরা কলি বরগুনা বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
যার সি.আর নং ৬০৩/২০২১ (বর) ধারা—৩০২/৩৪/২০১ দন্ডবিধি।
উক্ত মামলায় ১নং আসামী স্বামী মনিরুল ইসলাম, ২নং আসামী ২য় স্ত্রী সেলিনা বেগম, ৩নং আসামী দেবরের স্ত্রী ফাহিদা ইসলাম বিধি ও দেবর আল আমিন গতকাল মামলার অনির্ধারিত তারিখে গোপনে আদালতে হাজির হইয়া জামিনের প্রার্থণা করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটির শুনানির শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে আসামীদের জেল হাজতে পাঠায়। উল্লেখ্য মনিরুলের ভাই আসামী জহিরুল পলাতক রয়েছে।
Leave a Reply