এম.এস রিয়াদ : জেলে সমাজকে টিকিয়ে রাখতে আমরা সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। মাছ প্রজনন ও উৎপাদনে বাঁধাগ্রস্থ হয়, এমন অবৈধ জাল নদী থেকে অপসারণ করতে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে। সেইসাথে ইলিশের চাহিদা মেটাতে আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাশে থাকবো। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় এমন সব মন্তব্য করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান। “বেশি বেশি মাছ চাষ করে বেকারত্ব দূর করি” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বরগুনায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২১ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ বরগুনার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব এর সভাপতিত্বে ও বরগুনা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠন ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রশিদ, পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ স¤পাদক সোহেল হাফিজ। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা প্রশাসক বরগুনা স্টাফ কোয়ার্টার পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে দেশের দেশীয় মাছকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারী প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়ন প্রতিটি জেলা ও উপজেলা মৎস্য অফিস বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ের সফল মৎস্যচাষী পুরস্কার-২১ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলার মাছ উৎপাদন (পাঙ্গাশ) মোঃ আব্দুল হালিম, পাথরঘাটার মোস্তফা গোলাম কবির, আমতলীর মোঃ আনোয়ার হোসেন ও বামনার রেনু উৎপাদন (মনোসেক্স তেলাপিয়া)’র ক্ষেত্রে সোনার বাংলা হ্যাচারী এন্ড ফার্ম লিমিটেড (গোলাম মোর্শেদ) কে এ সম্মাননা
প্রদান করা হয়।
Leave a Reply