এম.এস রিয়াদ : ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে জনসাধারনের যাতায়াত, ঈদপূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬ টা পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন শিথিল করেছিলেন সরকার। তবে এ সময়ে সর্বাবস্থায় জনসাধারণকে সতর্কতার সাথে থাকা এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করার আদেশ দিয়েছিলো সরকার।
ঈদ-উল আযহা শেষে আবারও শুরু হয়েছে ২৩ টি নিয়মের প্রজ্ঞপনে লকডাউন। যা ২৩ জুলাই সকাল ৬ থেকে আগামি ০৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২ টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে। লকডাউন বাস্তবায়ন ও সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। শহরের মধ্যে দেখা গেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফ উল্লাহ্ নিজামী হ্যান্ড মাইক হাতে সাধারণ মানুষদের ঘরে ফেরার তাগিদ দিয়ে এ গলি থেকে ওগলি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সাথে পুলিশ, বিজিবি, নৌবাহিনী, আনসার সদস্যরা সহযোগিতা করছেন।
তবে রেড ক্রিসেন্ট এর যুব সদস্যরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে মাঠে নেমেছেন। তবুও লকডাউন মানতে নারাজ বরগুনা জেলার সাধারণ জনগণ। ওষুধ ক্রয়ের নামে অহেতুক বাজারে ও বাহিরে ঘোরাঘুরি করছেন। সেই সাথে শহরতলীগুলো নির্ধারিত সময়ের বাইরে থেকে যাচ্ছে। তারা সৃষ্টিকর্তার দোহাই দিয়ে নির্দিধায় চলছেন। ফলে করোনা মহামারি প্রকোট আকার ধারণ করছে। সচেতনতার ভালাই তাদের মাঝে মোটেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে গোটা দেশকে।
Leave a Reply