পাথরঘাটা প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটায় চাঞ্চল্যকর স্ত্রী-কন্যা সন্তানকে হত্যা করে ছয় হাত মাটির নিচে পুঁতে রাখা সেই ঘাতক স্বামী শাহিন মুন্সি (২১) হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুব্রত মল্লিক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, সোমবার (১৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের বন্দর এলাকার একটি মোটর গ্যারেজ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনার পর থেকেই ঘাতক শাহিন পলাতক ছিলেন। ধর্ষণের অভিযোগ হওয়া মামলায় তিন মাস জেলে থাকার পর জামিনে বের হয়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের রিপন বাদশার মেয়ে সুমাইয়াকে (১৮) বিয়ে করেন শাহিন মুন্সি। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানেরও জন্ম হয়। সব ঠিক হয়ে গেছে বলে পরিবার ভাবলেও স্ত্রীসহ নয় মাসের মেয়েকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যান শাহিন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী শাহিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন, তাদের দা¤পত্য জীবন ভালো যাচ্ছিল না। কলহের জের ধরেই স্ত্রীকে ও পরে মেয়েকে হত্যা করে সে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঞ্চল্যকর ঘটনার ঘাতক স্বামী শাহীন মুন্সিকে আদালতে সোপর্দ করে সিআইডি।
এ সময় পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুব্রত মল্লিক দীর্ঘ তিন ঘণ্টা তার খাস কামরায় ১৬৪ এর জবানবন্দি নেন। জবানবন্দি শেষে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের জিআরও মো. আজাদ হোসেন বলেন, সিআইডি আসামি শাহিনকে আদালতে সোপর্দ করলে ১৬৪ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি আরো জানান, ৪ জুলাই আটক শাহিন মুন্সির মা শাহিনুর বেগম ও মামাতো ভাই ইমামকে পৃথক ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত শুনানির জন্য অপেক্ষমান রাখেন। বুধবার শাহিনের ১৬৪ তার জবানবন্দি শেষে কারাগারে থাকা শাহিনুর ও মামাতো ভাই ইমামের রিমান্ডের শুনানির জন্য ১৩ আগস্ট ধার্য রাখেন।
Leave a Reply