তালতলী প্রতিনিধি : বরগুনার তালতলীতে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে গত ৮ জুন মামলা দায়ের করেন মোসা.সাবিনা বেগম (১৯) নামে এক গৃহবধূ। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আইন ২০০০ এর ২৭(১ক) মোতাবেক অভিযোগ কারীর লিপিবদ্ধ কৃত জবানবন্দি পর্যালোচনা করে প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করতে আদালত ৭কার্য দিবসের মধ্যে প্রধান শিক্ষক লাউপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা যায়।
অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড়আমখোলা গ্রামের মো. হানিফা হাওলাদারের মেয়ে মোসা.সবিনা বেগমের সাথে বড়বগী ইউনিয়ন এর মালিপাড়া গ্রামের মো. শাহাজালালের ছেলে মো.শাহাদাত হোসেনের সাথে গত ১১/৭/২০২০ তারিখে তিনলক্ষ (৩০০০০০)টাকা কাবিনে পারিবারিক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের কিছুদিন পরে মেয়ের সংসারে অশান্তি দেখে পিতা.মো. হানিফ হাং দুইলক্ষ টাকার উপহার সামগ্রী পাঠিয়ে দেয়। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর যৌতুকলোভী স্বামী যৌতুকের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। মদ, গাজা,একমকি ইয়াবা সেবন করিয়া মাতাল হয়ে শারিরিক ও মানষিক জ্বালা যন্ত্রনা দিয়ে আসছে যৌতুকের দুইলক্ষ টাকা দাবি করলে আমি দিতে অসম্মতি জানালে আমার স্বামী আমাকে স্ত্রী হিসাবে রাখবে না বলে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। টাকা না পেয়ে আমার স্বামী আমাকে বাবার বাড়ি ফালাইয়া রেখে চলে আসে। তারপর থেকে কোনো খোঁজ খবর রাখে না। কিল ঘুষি ও বিভিন্ন আঘাত করার ফলে শরীরে জখমের সৃষ্টি হয়।গুরুতর আহত অবস্থায় বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিলে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাই।চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আসি।আমার স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালায়। আমি এই নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।সে বর্তমানে সাংবাদিকতার পরিচয়ে বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে আমাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছে ও মামলা তুলে নেওয়া জন্য চাপ সৃস্টি করছে।
ভুক্তভোগী মোসা.সাবিনা বেগম বলেন,বিবাহের পরে স্বর্ণঅলংকার ও উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।তারপর ও আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা সেবন করে বিভিন্ন ভাবে যন্ত্রনা দেয়। যৌতুকের জন্য চাপ দিলে বাবা বাড়ির থেকে টাকা না এনে দেওয়াতে ক্ষীপ্ত হয়ে তালাক দিয়ে দিবে। যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে নারী ও শিশু আদালতে মামলা দায়ের করি।এই নির্যাতন এর সুষ্ট বিচার চাই। ভুক্তভোগীর বাবা মো.হানিফা হাওলাদার বলেন বিবাহের পরে আসামী শাহাদাত হোসেনকে বিভিন্ন প্রকারের দুইলক্ষ টাকার মালামাল দেওয়া হয়। কিন্তু এতে ও আমার জামাই ক্ষান্ত হয় নি। মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে জালায় ও মারধর করে।মেয়ে সহ্য না করতে পেরে শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ভাবে আসামীরা হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লাউপাড়া সাগর সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.গোলাম হায়দার বলেন,আমি স্বাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করি। লোকদের কাছে প্রকাশ্যে গোপনে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি মামলার বর্ণিত ঘটনা স¤পূর্ণ সত্য ও নেশাদ্রব্য সাথে জড়িত। আমি কোর্ট খোলার সাথে সাথে প্রতিবেদন দাখিল করব।
Leave a Reply