এম.এস রিয়াদ (সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার) : বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ভারত থেকে ছড়িয়েছে করোনার একটি বিশেষ ধরন। এত দিন এটি করোনার ভারতীয় ধরন নামে পরিচিত ছিল। সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে করোনার এই ধরনের নতুন নাম দেওয়া হয়েছে। একে ‘ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট’ নাম দিয়েছে সংস্থাটি। বর্তমানে করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় একটানা সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। যা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে মাঠে নেমেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। করোনার প্রদুর্ভাব শুরু ও লকডাউনের প্রথমদিন থেকে গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দিনেও দেখা গেছে প্রশাসনের ব্যপক সরব। পুলিশের ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) সদস্যদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় চেক পোস্ট বসিয়ে জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষদের ঘরে ফেরাচ্ছেন। শুক্রবার শেষ বিকেলে নির্ধারিত সময়ে বাড়ি ফেরার তাগিদ ও কঠোর লকডাউনের আইন বাস্তবায়নে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হাসান শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চালিয়েছেন মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমান আদালত)।
এসময় দেখা গেছে বিজিবি সদস্যদের। আর সারা দেশ জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের গর্বিত সন্তানরা। তবে নিজেদের শতভাগ করোনামুক্ত ও সেভটি নিয়ে মোবাইল কোর্ট শেষে রেড ক্রিসেন্টের টিমকে ধমকিয়েছে কয়েকজন নাম না জানা ওষুধ রিপ্রেজেন্টেটিভ। তারা বলছেন শতভাগ সেভটি নিয়ে চলেন। সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন তাদের পকেটেই থাকে। কেনো তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শ্বাসিয়ে গেলো এর সুরহা করবেন জেলা প্রশাসকের সাথে। করোনার এমন সংকটময় মুহূর্তে দেশের মানুষের কথা ভেবে সরকারের দেয়া লকডাউনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শহর ও শহরতলীতে দেখা গেছে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। সচেতন নাগরিকরাই মানতে নারাজ এ লখডাউন।
সেই সাথে কোন ধরণের সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই সদর উপজেলার ৯ নং এম. বালিয়াতলীর ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের মাঝে করা হয়েছে চাল বিতরণ। যেখানে ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ নেওয়াজ সেলিম ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
Leave a Reply