স্বপন কুমার ঢালী, বেতাগী থেকে : উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনে ১ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রি. তারিখ বিকেল ৪ টা পযর্ন্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা কাজী শহীদুল ইসলামের কাছে মেয়র পদে ৩ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। কাউন্সিলর পদে ২৭ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবির, বিএনপি থেকে পৌর বিএনপি’র আহবায়ক ও সাবেক প্যানেল মেয়র মো. হুমায়ুন কবির মল্লিক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মাহমুদুল হাসান মহসিন। আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় মেয়র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবির। তিনি পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করেছেন বলে দাবী করে বলেন,‘বেতাগী পৌরসভাকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি এবং সর্বশেষ গত ২ জুলাই ২০১৯ খ্রি. তারিখ দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত করেন। তিনি বলেন “গত নির্বাচনে দেয়া ইশতেহারের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য, বঙ্গবন্ধু পৌর অডিটোরিয়াম, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, অত্যাধুনিক ডাক বাংলো, পৌরসভার সকল রাস্তাঘাট, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন , পৌরসভার সকল সড়কে বৈদ্যুতিক বাতি দেয়া, প্রেসক্লাব ভবন নির্মান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘দল ও জনগণ প্রতি আমার আস্থা ও পূর্নবিশ্বাস রয়েছে। আমি পূনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরসভার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করব।’
বিএনপি থেকে মনোনীত বেতাগী পৌর বিএনপি’র আহবায়ক ও সাবেক প্যানেল মেয়র মো. হুমায়ুন কবির মল্লিক। তিনি গত নির্বাচনেও বিএনপি দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন,‘ পৌরসভার জনগণের প্রতি আমার শতভাগ বিশ্বাস ও আস্থা আছে এবং নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আমি জয়লাভ করব । নির্বাচিত হলে জনসাধারণের সকল প্রকার উন্নয়নসহ নাগরিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।’ এছাড়া মেয়র পদে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান মহসিন বলেন,‘ জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির জনগণের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কথায় নয় আমি কাজে বিশ্বাস করি এবং নির্বাচিত হলে মুরব্বীদের যথোপযুক্ত সম্মান প্রতিষ্ঠা করব। জনগন যদি আমাকে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত করেন তবে জনসাধারণের আন্তরিক ভালোবাসা ও ¯েœহভাজন হয়ে সব সময় জনগেণের পাশে থাকতে চাই।’ এছাড়া কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা হলেন, ১ নং ওয়ার্ড থেকে মো. জসিম খান, মো. রিয়াদ খান, মো. পান্না ২ নং ওয়ার্ড থেকে দিপক কুমার দাস, নয়ন দাস, মো.মিলন সিকদার, প্রিন্স, ৩ নং ওয়ার্ড থেকে মো. হাবিবুর রহমান খান, মো. নাসির উদ্দিন ফকির, ৪ নং ওয়ার্ড থেকে মো. হুমায়ুন কবির সিকদার মো. রিয়াজ সিকদার, রমেন চন্দ্র দেবনাথ, মো. কবির হাওলাদার, ৫ নং ওয়ার্ড থেকে মো. মাসুদুর রহমান খাঁন, মো.নওরোজ সিকদার, মো. শাহজামাল মিন্টু ৬ নং ওয়ার্ড থেকে অভিজিৎ গুহ সুমন এবং মো. লুৎফর রহমান ফিরোজ মোল্লা, ৭ নং ওয়ার্ড থেকে বরুন কৃষ্ণ কর্মকার ও মো. জিয়াউর রহমান জুয়েল, ৮ নং ওয়ার্ড থেকে আব্দুর রহিম সিকদার, মো. আব্দুল মন্নান হাওলাদার, মো. সেন্টু আকন, মো. কোয়েল সিকদার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে মো. কামাল হেসেন পল্টু, মো. জুয়েল রানা, মো. সোহেল কিবরিয়া। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে (১,২,৩ নং ওয়ার্ডের) শাহিনুর বেগম ও তাসলিমা আক্তার কল্পনা (৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের) নিপু রানী দাস ও রোজি খানম (৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের) মোসা. রাশেদা বেগম, মোসা. মেরী আক্তার, হাসিনা বেগম ও রীনা বেগম। উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যানুযায়ী, আজ ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহার , ১১ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত এ্ প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ চলবে। এ পৌরসভায় ৯ টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ২ শত ৭৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ৫ শত ৪২ জন এবং মহিলা ভোটার ৪ হাজার ৭ শত ৩৫ জন। এতে রিটানিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার এবং সহকারি রিটানিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী শহীদুল ইসলাম।
Leave a Reply