বেতাগী প্রতিনিধি : মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিছিল ও শোডাউন করার অভিযোগে বরগুনার বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুই প্রার্থীকে লিখিত নোটিশ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বেতাগী পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার দীলিপ কুমার হাওলাদার। প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত এবিএম গোলাম কবির ও বিএনপি মনোনীত মো. হুমায়ুন কবির মল্লিক।
লিখিত নোটিশে বলা হয়েছে, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় মিছিল ও রাস্তা বন্ধ করে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করতে আসেন যা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই কেন আপনার বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবিএম গোলাম কবির বলেন, আমি কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ পাইনি। তবে আমাকে নির্বাচন অফিস থেকে জানানো হয়েছে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে যেটা আমাকে রেখে দিতে বলা হয়েছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী মো. হুমায়ুন কবির মল্লিক বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার চিঠি পেয়েছি। তবে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করছি, নির্বাচনী আচরণবিধির প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা কোনো মিছিল মিটিং নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাইনি। আমরা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে আমাদের জবাব পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। যে সময় আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাই তখন অন্য দল সমর্থিত কয়েকজন কমিশনার প্রার্থী মিছিল শোভাযাত্রাসহ এসেছিল। তারা নির্বাচন আচরণবিধি ভাঙতে পারে। আমরা ভাঙিনি। প্রসঙ্গত, পৌর নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৩০ নভেম্বর সোমবার বরগুনার বেতাগীতে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবিএম গোলাম কবীর তার দলীয় নেতাকর্মীদের একটি বিশাল মহড়া নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এসময় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে শোডাউন ও মিছিলে অংশ নেয় নেতাকর্মীরা। একই অভিযোগ ওঠে বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধেও। তবে তিনি শোডাউন করেছেন কিনা তা জানা যায়নি।
এদিকে বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনে ৩ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে ৩ জন, পৌরসভার ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২৭ জন ও ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
Leave a Reply