স্টাফ রিপোর্টার : বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আমতলা গ্রামে সাইক্লোন শেল্টারের জন্য নদীপথে মালামাল তোলার জন্য একশ্রেণীর প্রভাবশালী লোক সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বেরিবাদের রাস্তা ভাঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,ষ। দেখা গেছে, ছোট ছোট আঁকাবাঁকা ইটের রাস্তা উপর দিয়ে বড় ট্রাফিতে এ মালামাল গর্জনবুনিয়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে নেওয়া হচ্ছে। এতে রাস্তার দু’পাশ ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসী বলেন, সাইক্লোন শেল্টার দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকার ক্ষতি করে পকেট ভারি করছেন একটি মহল।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, গর্জনবুনিয়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ফায়েল খায়ের স্কুল ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার করার জন্য নদীপথে মালামাল পৌঁছানোর জন্য গ্রামের ছোটখাটো রাস্তা দিয়ে ছয় চাকা জনিত ট্রাফি আসা-যাওয়া করায় রাস্তার দু’পাশ ভেঙে যাচ্ছে! রাস্তার দু’পাশে বেরিবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লাগানো হয়েছে সরকারি গাছ। সেই গাছ কেটে এই মালামাল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও রাস্তার পাশ থেকে মাটি কেটে গাড়ি যাতায়াত করেছে তারা। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছি আমরা। বেরিবাধের পাশে গাছ না থাকলে এ রাস্তাটি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। আমাদের ঘরবাড়িও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এলাকাবাসী শামসুল হক বলেন, আমরা অনেক কষ্টের পর এই রাস্তাটি পেয়েছি এখান দিয়ে অবৈধ ট্রাফি মাল লোড করে চলাচলের কারণে রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই রাস্তাটি এতটাই ছোট যে একটি মালবাহী ট্রাফি যেতে গেলে সাধারণ মানুষকে রাস্তার দু’পাশে নেমে দাঁড়াতে হয়। প্রায়ই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। এ রাস্তাটির নষ্ট হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে না। আমাদের চলাচল করতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
তিনি আরো বলেন, নদীর পাশে সরকারি গাছ কেটে তারা জাহাজ নোঙ্গর করার জন্য খুঁটি গেরেছেন। নদীর পাশে রাস্তাটিতে কাদা থাকার কারণে সরকারি গাছ কেটে তা বিছিয়ে চলাচল করে ট্রাফি।
লেবার বারেক খান বলেন, আমাদেরকে গর্জনবুনিয়া স্কুল ও কলেজ এর প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার মাস্টার রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় মাটি দিতে দৈনিক মজুরি হিসেবে নিয়েছেন। স্কুলের মালামাল নিতে সমস্যা হয় বিদায়। আমরা তার কথামতো চারটি সরকারি ছইলা গাছ কেটে রাস্তায় দিয়েছি।
গর্জনবুনিয়া স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার মাস্টার বলেন, সরকারি স্কুল নির্মাণের জন্য মালামাল আসবে সেটা তো সরকারি রাস্তা দিয়েই আসবে তাতে সমস্যা কোথায়। সরকারি গাছ কেটে রাস্তায় দেবে না তো কোথায় দিবে। তিনি আরো বলেন, এই কাজটি বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের ছেলেরা করাচ্ছেন।
ফরেস্ট গার্ড সোবহান বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ১৫ টি গাছ কেটেছে। ঘটনাস্থলে যারা ছিল তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম তারা বললো আপনি গর্জনবুনিয়া স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশারের এর সাথে কথা বলেন, আমি স্কুলের শিক্ষকের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন সরকারি কাজে সরকারি গাছ কেটে লাগিয়েছি তাতে আপনার সমস্যা কি। আমি সাথে সাথে রেঞ্জ অফিসারকে বিষয়টি জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে বরগুনা বন বিভাগের কর্মকর্তার অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোনটি রিসিভ হয়নি।
Leave a Reply