স্বপন কুমার ঢালী, বেতাগী (বরগুনা): বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে বিদ্যালয়ের নিয়মিত পরিচালনা কমিটি ব্যাহত হচ্ছে, ভংগে পড়েছে শিক্ষার সঠিক কার্যক্রম।
অভিযোগ সূত্রে ও তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৪ সালের জুন মাস থেকে ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত উপজেলার ৩৭ নং মোকামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন করুণা মোকামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ শাহ মো. মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস। তিনি গত ১১/০৩/২০২০ খি., ২৬/০৭/২০২০ খ্রি এবং ২৯/০৮ /২০২০ খ্রি তারিখ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেন। প্রধান শিক্ষক মো. হারুণ- অর– রশিদ ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। প্রধান শিক্ষক টালবাহানা করে কমিটির মেয়াদ শেষ হলে আর কোন তফশীল ঘোষণা করেণনি। এরপর ওই বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটি গঠনের নিয়মানুুসারে এডহক কমিটি গঠন করা হয়। এ এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ জুন ২০২০ খ্রি. তারিখ। এছাড়া বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে স্লিপের টাকা, ক্ষুদ্র মেরামত, রুটিন মেইনটেনেন্স ও প্রাক-প্রাথমিকের জন্য কোন বরাদ্দ আসেনি। তাঁর এ অবহেলা ও খামখেয়ালীপনা আচরণের গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রি. তারিখ উপজেলা পর্যায়ে সরকার প্রদত্ত শিক্ষামন্ত্রনালয়ের কর্মসূচির আওতায় উপজেলা পর্যায়ে কোন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি। যা চাকুরির ক্ষেত্রে সম্পূর্ন অনিয়ম।
এ বিষয় প্রধান শিক্ষক হারুণ অর-রশিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,’ আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, তবে সঠিকভাবে তদন্ত হলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে ।’ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,’ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন,’ সঠিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাপস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
Leave a Reply