আমতলী(বরগুনা) সংবাদদাতাঃ পূর্বচিলা রহমানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ঊওওঘ-১০০০১৭) প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক ২ ভাইয়ের সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ছাত্র অভিভাবক মোঃ জাকির প্যাদা, মোঃ বাবুল মৃধা, মোঃ নিজাম হাং, মোঃ নুরুল ইসলাম খান ও মোসাঃ খালেদা বেগম তাদের স্ব-স্ব মোবাইল নম্বর উল্লেখ পূর্বক শিক্ষা মন্ত্রী, মহা-পরিচালক(ডিজি), মাঃ ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুদক চেয়ারম্যান, বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল রেঞ্জ, উপ-পরিচালক(ডিডি), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, বরিশাল বরাবর পূর্বচিলা রহমানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এন আর হুমায়ুন কবির ও তার আপন ছোট ভাই সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম ফরিদের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর জাল, পকেট সভাপতি বানানোসহ সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতি সম্পর্কে এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, বিগত ১০ জানুয়ারী ২০২০ তারিখ প্রধান শিক্ষক এন আর হুমায়ুন কবিরের চাকুরির মেয়াদ শেষ হলেও এখনও পর্যন্ত তিনি বিধি বহিভুত ভাবে বহাল তবিয়াতে আছে। তিনি নামে বে-নামে ভাউচার তৈরি করে বিদ্যালয়ের টাকা এবং ব্যাংক একাউন্টের সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের টাকায় রোপিত প্রায় ২শ নানা প্রজাতির গাছ কেটে নিয়েছেন। কাম্য শিক্ষার্থী না থাকা সত্ত্বেও কারিগরি শাখা খোলে তাতে চাকরি দেয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ঔঝঈ/ঝঝঈ পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীকে সুবিধা দেয়ার নাম করে প্রত্যেকের কাছ থেকে দেড়/দুই হাজার টাকা আদায় করে নেন এবং এ জন্য নিকটতম আমতলী পরীক্ষা কেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও দুরবর্তী গাজীপুরে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিধি বহিভুত ভাবে তিনি গোপনে ঝগঈ-র সভাপতি গঠন করেন। নির্ধারিত সংখার চেয়ে ৪/৫ গুণ বেশি সরকারী বই উত্তোলন করে পরবর্তী সময় তা পুরান খাতা ও গাইড বইয়ের সাথে কেজি দরে বিক্রি করে শত শত টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রধান শিক্ষক এন আর হুমায়ুন কবিরের ১টি ব্যক্তিগত স-মিল আছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে সব সময় তিনি তার মিলে চলে যান।
প্রধান শিক্ষকের ছোট ভাই সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম ফরিদেরও দুর্ণীতির শেষ নেই। তিনি উপজেলা স্কাউটের সাঃ সম্পাদক। বিদ্যালয় সংল্গন বাড়ি থাকা সত্ত্বেও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন আমতলী শহরে। অপর দিকে তিনি বছরের পর বছর টওঞজঈঊ-এর প্রশিক্ষক এই সুবাদে তিনি ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং কার্যক্রম চলমান না থাকলেও ট্রেনিং-এর বাহানা দিয়ে অদৌও বিদ্যালয়ে যান না। মাস শেষে গিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে আসেন। তার সব চেয়ে কৃতিত্ব হচ্ছে দুটি। ১ম) ঔঝঈ/ঝঝঈ পরীক্ষা চলাকালীর সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে অফিস সহকারীর ভূয়া ব্যাচ গলায় ঝুলিয়ে অবৈধ ভাবে হলের মধ্যে চলাচল এবং খারাপ ছাত্রকে ’এ+’ পাইয়ে দেয়ার পূর্বচুক্তি অনুযায়ী অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষা চলাকালীন অথবা শেষে ভাল শিক্ষার্থীদের ঙগজ সিট পরিবর্তন করে দেন। এর ফলে ভাল ছাত্রটির রেজাল্ট খারাপ হয়ে যায়। এদিকে করিৎকর্মা শিক্ষক মহোদয় তার ২য় কাজটি করেন। পরীক্ষা শেষে যে সব পরীক্ষার্থীর খারাপ রেজাল্ট করার সম্ভবনা আছে তাদের রেজাল্ট ভাল করিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের সাথে চুক্তি বদ্ধ হন এবং বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে যোগসাজসে রিকাউন্টের নামে ইচ্ছামত রেজাল্ট বানিয়ে আনেন। উদাহরন সরূপ বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কর্মকতাদের যোগসাজসে আমতলী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও টিয়াখালী নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৫ সালের জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৯১ ও ২২ জন। এদের মধ্যে অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ছিল ৬২ ও ১৭ জন। ১ জন বাদে আর সবাই অংকে ফেল করেছিল। এই অনাকাক্সিক্ষত রেজাল্টের জন্য ২ জন প্রধান শিক্ষক অংক উত্তরপত্র পূর্নমূল্যায়নের জন্য বোর্ডে আবেদন করেন। সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম ফরিদের সহযোগীতায় সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে গোপনে উত্তরপত্র গুলো উক্ত বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। বিগত ২৮ জানুয়ারী ২০১৬ তারিখ জাতীয় পত্রিকা দৈনিক ইনকিলাব-এ “বরিশাল র্বোড থেকে জেএসসির উত্তরপত্র সংগ্রহ-আমতলীতে ৫৯ পরীক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ করার কেরামতি” সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এই প্রক্রিয়াতেই তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ছাড়া বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজসে বছরের পর বছর বোর্ডে বিধি বহির্ভূত ভাবে ২ ভাই বিভিন্ন বিষয়ের প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
Leave a Reply