মোঃ কাশেম, দ্বীপাঞ্চল প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারিকুল ইসলাম লিটনের কফিনে পতাকা আবৃত করে জাতীয় পতাকাকে এরকম অপব্যাবহারের আইনি ব্যাখ্যা চেয়ে এব পৌরসভার হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে সংবাদ সম্মেলন করেন পাথরঘাটা পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম কাকন।
সোমবার বেলা ১১টার সময় পাথরঘাটা প্রেসকাবে তিনি লিখিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অকান্ত শ্রম ও অনেক জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার প্রতীক লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা প্রায়াত কাউন্সিলরের কফিনে মুরিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা আইনের ব্যাত্যায় হয়েরেছ। এ কারনে গত ২৬ জুলাই পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অপব্যাহারের আইনি ব্যাবস্থা পরিলক্ষিত হয়নি বরং পাথরঘাটা পৌরসভা পৌরসভার কতৃপক্ষ ভিন্নখাতে নেয়ার অপচেস্টা করছেন। জাতীয় পতাকা এরকমের যত্রতত্র ব্যাবহার করলে শুধু জাতীয় পতাকা অপব্যাবহার করা হয়না বরং লাখো শহিদদের প্রতিও অসম্মান করা হয়। ঘটনার সময় দৃশ্যমান ভিডিও ফুটেজ থেকে প্রকৃত ঘটনার উৎঘাটন করে আইনি ব্যাবস্থার দাবি জানান তিনি। জাতীয় পতাকা আইন ২০১০ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা মুলক কার্যক্রমের প্রতি সরকারের প্রতি দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, ইতোপূর্বে জাতীয় পতাকা অপব্যাবহার করার ছবি আমার ফেসবুকে দেয়ায় তা ভাইরাল হয়। তাছাড়া পৌরসভার হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন ৪৩ থেকে ৫১টি কথিত আছে ১শ এর মত নামে বেনামে কয়েক কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়ায় তা ডকুমেন্টসহ ফেসবুকে দেয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে ইতোমধ্যে আমাকে প্রাননাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন তার অভিযোগ মুঠোঠেনে স্বীকার করে বলেন, কাকন সাহেব কারো কথায় আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন, এটি সত্য। অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা না হলেও কিছুতো একটা আছেই।
পাথরঘাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র রোকনুজ্জামান রুকু জানান, জাতীয় পতাকার বিষয়টি নিয়ে আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। তবে হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেনের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তদন্ত সাপেক্ষ সত্যতা যাচাই করা যেতে পারে।
এবিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, ইতোমধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক স্যারের নিকট পাঠানো হয়েছে। দ্রুত তা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে।
Leave a Reply