স্টাফ রিপোর্টার : বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের পূর্ব পাশে একটি চায়ের দোকানে হাজার টাকার অধিক বাকি খাওয়ার পরে আবরও বাকি চাইলে দোকানদার সেই বাকি টাকা চাওয়ায় দোকানদার মোতালেবকে শনিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে মারধর করেন এম্বুলেন্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভা ট্রাকের ড্রাইভার লিটন। এতে গুরুতর আহত হলে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মোতালেবকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের সামনে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান মোতালেবের। এ দিয়ে চলে তার সংসার। সেখান থেকে প্রতিদিন লিটন লোকজন নিয়ে এসে চা, পান, সিগারেট খেয়ে চলে যায়। টাকা দেওয়ার কোনো নাম নেই। টাকা চাইলে বলে পরে দেবো, আমি তো আর পালিয়ে যাচ্ছি না। এতে তার বাকির খাতায় ১ হাজার ৫০ টাকা পাওনা থাকার পরেও আবার যখন বাকি খাইতে যাওয়ায় দোকানদার দিতে রাজি না হয়ে, পিছনের বাকি টাকা চায় লিটনের কাছে। কেন টাকা চাইলো এজন্য লোকজনের মধ্যে মোতালেবকে বেধড়ক মারধর করেন লিটন।
স্থানীয় একাধিক লোক বলেন, লিটন এভাবে প্রায় দোকান থেকে বাকি খেয়ে চলে যায়। টাকা চাইলে মারধরের হুমকি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখায়। তাই ভয়ে অনেকেই তার কাছে টাকা চায় না। কোথায় তার খুটির জোর তা আমরা জানিনা। তবে এটার একটি সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত।
আহত দোকানদার মোতালেব বলেন, লিটন আমার দোকানে বিভিন্ন সময় লোকজন নিয়ে এসে চা, পান, সিগারেট খেয়ে চলে যায়। টাকা চাইলে দিবে দিবে বলে দেয় না। বাকি দিতে দিতে ১ হাজার ৫০ টাকা হয়ে গেছে। কিন্তু সে টাকা না দিয়ে আবারো ৫/৬ জন লোক নিয়ে আমার দোকানে খাইতে আসে । তখন আমি পিছনের বাকি টাকা চাইলেই ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে আমার বুকে অপারেশনের স্থানে অনেক কিল-ঘুসি দেয় ! আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন আমাকে লিটনের হাত থেকে রক্ষা করে। রাতে আমার ব্যাথা বারলে রবিবার সকাল ৮ টার দিকে আমাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হই।
তিনি আরো বলেন, এই লিটন বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়ির ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের চাচাতো ভাইয়ের পরিচয় দিয়ে সবার সাথে বিভিন্ন রকম ঝামেলা করে থাকে, ভয়ে কেহ কিছু বলে না। বাকি খেয়ে টাকা দেয় না। সত্যিই দোকানটি দিয়ে আমার সংসার চালাই। আমি ভয়ে কিছু বলি না কারণ লিটন ইয়াবা ব্যবসা করে। যদি আমার দোকানে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়, সেই ভয়ে কিছু বলি না বাকি খেয়ে টাকা ফেরত দেয় না এবং আমাকে যে মারধর করেছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই!
অপরদিকে মোতালেবের বাড়ি চেয়ারম্যান বাজার তাকে দেখতে যায় প্রতিবেশী মনির ও লিটন মুন্সি । আসার পথে ড্রাইভার লিটন তাদের উপর হামলা চালায় । কেন মোতালেবকে দেখতে গেছে বলে চল নিয়ে ধাওয়া করে মোটরসাইকেল থামিয়ে বেধড়ক মারধর করেন মনিরকে পরে স্থানীয়রা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
ড্রাইভার লিটন বলেন, আমি কয়েকজন লোক নিয়ে চা খেতে গেলে, দোকানদার মোতালেব আমার কাছে টাকা চায় । নগদ টাকা না দিলে চা দিবে না। এটা আমার সম্মানে বাঁধ । এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয় মোতালেব এর সাথে।
তবে কোন দোকানদার আমার কাছে ২ টাকাও পাবে না। আমি ২১ বছর যাবত সুনামের সাথে পৌরসভায় কাজ করে আসছি।
মনির ও লিটন মুন্সিকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন ড্রাইভের লিটন।
এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম বলেন, আমি এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply