স্বপন কুমার ঢালী, বেতাগী (বরগুনা): বরগুনার বেতাগীতে গ্রামীন ব্যাংকের কর্মীরা বিভিন্ন সদস্যদের মাঝে বিতরণকৃত ঋণের টাকা তুলতে গিয়ে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে ঋণ গৃহীতারা করোণাকালীন দুঃসময়ে তাদের ঋণের টাকা পরিশোধে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
জানা গেছে, বেতাগী গ্রামীন ব্যাংক শাখার আওয়াধীন সংগঠনের নিয়মানুযায়ী বেশ কয়েকটি অঞ্চলভিত্তিক সমিতি রয়েছে। এসব সমিতিতে দলনেতা গঠন করে ঋণ নিতে আগ্রহীদের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করে থাকেন। সপ্তাহের একটা দিন নির্ধারণ করে ঋণের আসলসহ টাকা উত্তোলন করেন মাঠ কর্মীরা । সংস্থার নিয়মানুযায়ী ঋণগৃহীতারা সাধারণত তৃণমূল পর্যায়ের হতো দরিদ্র হয়ে থাকেন। করোনাকালীন সময় গ্রামীন ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহণকারী অনেক সদস্যরাই যথারীতি টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। এ সময় কর্মমীরা ঋণের টাকা আনতে গিয়ে ঝগড়া বিবাদ , ভয় ভীতি ও চাপ সৃষ্টির বিস্তার অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনাকালীন মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময় কোন সদস্য টাকা পরিশোধে অসর্মথ হলে পরিবর্তীতে পরিশোধের সযোগ রয়েছে।
উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের ২১ নং পুটিয়াখালী সমিতির বেশ কিছু সদস্যরা অভিযোগ করেন, করোনাকালীন সময় তাদের কাজ রা থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে রয়েছে। যার ফলে দু এক সপ্তাহের ঋণের সুদসহ আসল টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। এ কারণে ঋণের টাকা উত্তোলনকারী মাঠ কর্মী মো. মনির হোসেন ও ব্যাবস্থাপক দুর্ব্যবহার করেন।
ওই সমিতির সদস্য সীমা রানী ও শৈবা রানী বলেন,’ করোনাকালীন সময় কাজ না থাকায় আমরা দু একটা কিস্তির টাকা যথারীতি পরিশোধ করতে না পারায় আমাদের দুর্ব্যবহার করেন।’
সীমা রানীর স্বামী সুজিত ঘরামী বলেন, ‘ গ্রামীন ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক মিলা আক্তার আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেন, অফিসে গেলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গ্রামীন ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক মিলা আক্তার বলেন,’ পুটিয়াখালীর ২১ নং সমিতির কিছু সদস্য ঋণের টাকা নিয়ে নয় ছয় করেন। ওই সমিতির সীমা রানী ও তাঁর স্বামী সুজিত ঘরামী’র লেনদেন ভালো নয় বিধায় তারা অহেতুক অভিযোগ তুলে ধরছেন।’
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজীব আহসান বলেন,’ এ বিষয় আমি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথারীতি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply