জুলহাস(স্টাফ রিপোর্টার): বরগুনা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের টাউন হল বাস এস্টান্ডের এর উত্তর পাশে হাজী আব্দুর রব মিয়ার বাসাসহ পাঁচটি পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন, কাউন্সিলর ও মেয়রের নেই কোনো তদারকি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুর রব মিয়ার বাসাসহ পাঁচটি পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন, ড্রেনের ও পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে বিভিন্ন জায়গার ব্যবহারকৃত পানি এসে সেখানে জমা হয় এবং পানিবন্দি হয়ে পড়ে পাঁচটি পরিবার, মোঃ জাকির হোসেন বারবার কাউন্সিলর এর সাথে যোগাযোগ করেও কোনো ফলশ্রুতি পাননি।
ভূক্তভগী জাকির হোসেন(৪৫) বলেন, আমাদের বাসা- বাড়ি পৌরসভা থেকে ভেঙ্গে নেওয়ার পর থেকেই অনেক কষ্টের ভিতরে আছি। আর্থিক ভাবে দূর্বাল হয়ে পরি! আমাদের বাসার ব্যাবহিৃত পানি বা বৃষ্টির পানি জমে জমে আমাদের বাসা প্লাবিত হয়ে যায়! আমরা অনেক কষ্টে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস করতেছি এখন।
ভূক্তভগী মনির হোসেন(৩৮) বলেন, আমদের বাসায় যেই পরিমান পানি জমে যায় তা আমরা মটারের মাধ্যমে রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে সরাতে দুই/তিন দিন লেগে যায়! আবার দেখাযায়, আগের মতো পানি জমা হয়ে যায়! বৃষ্টিতে বা নিজেদের ব্যাবহারকৃত পানিতে। যদি কোন ড্রেন বা পানি নামানোর ব্যাবস্থা থাকতে তাহলে হয়তো আমরা পরিবার নিয়ে একটু শান্তিতে জীবন জাপন কাটাতে পারতাম!
হাজী আঃ রব মিয়া(৮০) বলেন, আমাদের বাসায় এতো পরিমান পানি জমে। যাতে কষ্টের কোন শেষ নেই! আমার এখন বয়ষ হয়েগেছে তারপরও দেখা যাচ্ছে বালতিতে করে পানি নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে পানি কমানোর চেষ্টা করি কিন্তু আবার হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। বা আমার কাছে সব পানি সরানো সম্ভাব হয়না। মটারে করেও পানি বের করতে পারছি না। বাসায় রান্না করতে পারছে না! বা টয়লেটে যাওয়ার মতো কোন ব্যাবস্থা নেই ! যেতে হলে হেটে হেটে পানির ভিতর দিয়ে যেতে হয়! আমি এমনেতেই হাটতে গেলে পরে যাই! ডিসি মহাদয়ের কাছে এর একটা ব্যাবস্থা চাই! শেষ সময়ে একটু পরিবারকে নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই!
এ-ব্যাপারে ০১নং ওয়ার্ডএর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম স্বপন বলেন, একটা ইস্কীম করা হইছে, এটা পাশ হইলেই হয়তো একটা ড্রেনের ব্যাবস্থা করা যেতে পারে।
পৌর মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, রব মিয়ার পরিবার পানি বন্দি! এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। আমাকে কেহ কিছু বলেনি, বললে হয়তো পৌরসভার পক্ষথেকে একটা ব্যাবস্থা নিতে পারতাম।
Leave a Reply