জুলহাস (স্টাফ রিপোর্টার): বরগুনায় কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে তাজনেহার (৩৫) নামের এক প্রেমিকাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত তাজনেহার তিন সন্তানের মা এবং সদর উপজেলার ৭ নং ঢলুয়া ইউনিয়নের খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা। জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত তাজনেহার তার পরিবার পরিজন নিয়ে ঢলুয়া খেয়াঘাট এলাকায় বসবাস করে আসছে। পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য একই এলাকায় চায়ের দোকান পরিচালনা করত। তার স্বামী কাজের সুবাদে বরিশাল থাকতো। এ সুযোগে তাজনেহারের সাথে এলাকার বখাটে নারীলোভী হানিফের অবৈধ সর্ম্পক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে হানিফ ক্ষিপ্ত হয়ে তাজনেহারকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখাতো। গত সোমবার (৬ জুলাই) রাত আনুমানিক নয়টার দিকে তাজনেহারকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার (৭জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ বিষয়ে নিহত তাজনেহারের মেয়ে বলেন, সোমবার রাতে আমরা ঘরে বসে টিভি দেখছিলাম। এমন সময়ে হানিফ এসে আমার মা’কে ডেকে বাড়ীর পেছনে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আমরা চিৎকার শুনতে পাই । মা ঘরে আসার পরে তার শরীরে ক্ষত চিহ্ন এবং হাতে কামড়ের দাগ দেখতে পাই। পরে আমাদের মামা এসে মা’কে হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহত তাজনেহারের ভাই জানান, চরিত্রহীন হানিফের অত্যাচারে এলাকার মা বোনেরা অতিষ্ঠ। এর আগেও একাধিকবার নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ছিল এ বখাটে হানিফ। চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ এলাকার গন্যমান্যরা কেউই তাকে সঠিক পথে আনতে পারেনি।

নিহতের পরিবারসূত্রে জানা যায়, হানিফের সাথে শারীরিক সম্পর্ক হয় তাজনেহারের, ফলে নিহত তাজনেহার তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। বরগুনা থানার ওসি তারিকুল ইসলাম বলেন, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।