জুলহাস(স্টাফ রিপোর্টার): নিজের জায়গা-জমি, ঘর-বাড়ি, পুকুর, বাগান সবকিছু ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও নিজের স্ত্রীর নামে সরকারের দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে বরগুনা সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিরাজ খান।
ইউপি সদস্য মিরাজের বিরুদ্ধে এলাকার অসংখ্য মানুষের অভিযোগ ত্রাণ দেয়ার প্রলোভনে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার। এমনকি নিজের স্ত্রীকে ভূমিহীন এবং গৃহহীনে দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন ভাগ্যহত গরীবের অনুকূলে বরাদ্দকৃত লক্ষ লক্ষ টাকার পাকা ঘর।
এমন ধরনের অভিযোগে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে ২০১৮এবং ২০১৯ সালের অর্থবছরে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে সরকারের দেয়া ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তিদের মাঝে ক শ্রেণীর পাকা ঘর বিতরনের তালিকায় ইউপি সদস্য মিরাজ খান এর স্ত্রী খাদিজা বেগম এর নাম।
তালিকায় ৪৬ নম্বর এ নাম অন্তর্ভুক্ত। এবং তার নিজ বাড়িতে সরকারের দেয়া পাকা ইমারতটি এখন বিদ্যমান আছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মিরাজ খা তার স্ত্রীকে গৃহহীন ও ভূমিহীন দেখিয়ে সরকারের দেয়া লক্ষ লক্ষ টাকার ঘরটি দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন।
এছাড়াও সরকারের দেয়া বিভিন্ন সময়ে অসহায় মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা রেশন কার্ড গর্ভবতী মহিলাদের ভাতা সহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা আদায় করে আসছেন।
এ ব্যাপারে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগের তালিকা থেকে জানা গেছে কুমরাখালি এলাকার জেলে জব্বার হাওলাদার এর নিকট থেকে ২৯০০ টাকা লাইলী বেগমের কাছ থেকে ২০০০ টাকা সরকারের পাকা ঘর দেয়ার কথা বলে শিল্পী বেগম নামে জনৈক মহিলার নিকট থেকে ৫০০০০ হাজার টাকা পিন্টুর নিকট থেকে ১০০০০ টাকা আমেনা বেগম এর কাছ থেকে রেশন কার্ড বাবদ ২০০০ টাকা ছকিনা বেগমের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা জুয়েল নামে জনৈক ব্যক্তিকে পাকা ঘর দেয়ার কথা বলে ৩ হাজার টাকা হিরন বয়াতিকে পাকা ঘরে দেয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা স্থানীয় মালেকের পিতার নিকট থেকে ৪ হাজার টাকা রওশনা বেগম কে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার কথা বলে ২ হাজার টাকা মিলন শিকদার নামের জনৈক ব্যক্তিকে ত্রাণ দেওয়ার আশ্বাসে ৫ ০০০ টাকা স্থানীয় পাগলা ইদ্রিসের স্ত্রীর নিকট থেকে ত্রাণের প্রলোভনের ৪০০ টাকা আলামিন ও রুবি বেগম নামে স্থানীয় লোকের কাছ থেকে ৭৫০০ টাকা সহ অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে ত্রাণ বিতরণ নামে এই টাকা তিনি আদায় করে আসছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিরাজ খান বলেন স্থানীয়ভাবে অভিযোগকারীদের সাথে পূর্বশত্রুতা থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
Leave a Reply