জুলহাস(স্টাফ রিপোর্টার): বরগুনার এম,বালিয়াতলী ইউনিয়নের দূদূর্ষ সন্ত্রাসী ছগির মোল্লা ওরফে জংলী ছগির আবারও এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করায় এম,বালিয়াতলী ইইউনিয়নের সাধারন গ্রামবাসী আতংকিত।
গত ২৪ জুন ছগির মোল্লার নেতৃত্বে, মনির মোল্লা,আলম মোল্লা, রিমন মোল্লা, সহ ১০-১৫ জনের সন্রাসীরা প্রকাশ্যে দিনের বেলা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইউসুফ আলীর(৭০) বাড়ীতে হামলা করে টেনে হেচড়ে দেশীয় অস্রের মুখে অপহরনের চেস্টা করে। বাধা দিতে গেলে তার ছেলে, স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়।
গ্রামবাসী ধাওয়া করার পর, সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাবার চেস্টা করলে আলম মোল্লা ও ইসমাইল কে ধরে গণধোলাই দিয়ে বেধে রাখে। পরে বাবুগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস,আই,রণজিৎ কুমারের নিকট আটককৃতদের হস্তান্তর করা হয়।
এস,আই, রণজিৎ কুমার চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এনে গ্রেফতার না করে ছেড়ে দেবার অভিযোগ করে গ্রামবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে আলাপে তারা জানান, ছগির মোল্লা ওরফে জংলী ছগিরের বিরুদ্বে, চাঁদাবাজি, অপহরন,ডাকাতি, মাদক,নারী নির্যাতন সহ ২০ থেকে ২৫ টি মামলা রয়েছে। এই মামলায় বেশী মামলায় তার বিরুদ্বে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। জংলী ছগির ও তার বাহিনির মূল অবস্হান দীর্ঘ ছোনবুনিয়া বনে। বনের গভীরে রয়েছে তার আস্তানা। পুলিশ ও র্যাব ছগির মোল্লাকে গ্রেফতারে একাধিক অভিযান চালিয়ে বনাঞ্চলে আত্মগোপনের কারনে সফল হননি।
মুক্তিযোদ্ধা আঃ মন্নান মৃধা বলেন,আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ছগির মোল্লার সস্ত্রাসী বাহিনির কাছে জিম্মি হয়ে আছি। তার বাহিনি প্রকাশ্যে সন্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
তরমুজ চাষী কামাল হোসেন বলেন, চাদা না দেয়ায় জংলী ছগির তাকে কুপিয়ে আহত করে। ইউপি চেয়ারম্যান তাকে মামলা করতে দেয়নি। বরগুনা থানার এস, আই, এবং ইউসুফ মাস্টারের হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেন বলেন, ছগির মোল্লার বিরুদ্বে একাধিক মামলা রয়েছে।
ছগির মোল্লা ও তার সহযোগিদের গ্রেফতারের চেস্টা অব্যাহত রয়েছে দাবী করে এই তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলের কারনে আমরা অভিযান ঠিকমতো করতে পারছিনা, তবে শীঘ্রই গ্রেফতার সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Leave a Reply