এম আর অভি: বরগুনা পৌরসভাস্থ রেশন কার্ডধারী উপকারভোগীদের মাঝে ২০ দিন যাবত চাল ও ৯দিন যাবত টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এতে রেশন কার্ডধারী ও নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ র্দূভোগে পড়েছে। জানাগেছে, মহামারি করোনা ভাইরাস দূর্যোগকালীন সময় সরকার নিন্ম আয়ের মানুষে জন্য ১০টাকা কেজি ধরে চাল বিক্রির রেশন কার্ড ও ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি চালু করেছে। কিন্তু কিছু দিন যাবত বরগুনা নিন্ম আয়ের রেশন কার্ডধারী উপকারভোগীরা ১০ টাকা কেজির চাল ও ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য পাচ্ছে না। প্রায় ২০দিন যাবত শহরে ১০টাকা কেজি চাল ,আটা ও ১০ দিন পর্যন্ত ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে।
পৌর শহরের ফার্মেসী পট্রি এলাকার বাসিন্দা মো. শিমুলসহ কয়েকজন উপকারভোগী প্রতিবেদকে জানান, প্রথমে আমি ১০ টাকা কেজিতে ৩১ মে ২০ কেজি চাল পেয়েছি। আজ অবধি আর চাল পায়নি। শুনেছি চাল দেয়া বন্ধ। চাল ও ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য না পাওয়ায় করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের নিন্ম আয়ের মানুষদের খেতে পরতে কষ্ট হচ্ছে।
চাল বিতরণ বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে ওমএমএস ১নং ওয়ার্ডের ডিলার জসিম মুঠোফোনে জানান,বরগুনা খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডি চাল চুরির অপরাধে জেলে থাকায় খাদ্য গুদাম সিলগালা ছিল । তাই চাল ও ওএমএসএর আটা বিক্রি ১৭/১৮ দিন বন্ধ আছে।
টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে বরগুনা জেলার টিসিবির ডিলার জসিম প্রতিবেদকে মুঠোফোনে জানান,টিসিবি এর উধর্তন কর্মকর্তারা টিসিবির পণ্য বিক্রি বরগুনায় বন্ধ রেখেছে কি কারণে বন্ধ তা তারা বলতে পারবে। আমরা চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত ৫ দিন বিক্রি করেছি । তিনি আরও জানান, স্যার (নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যেট মো.আবুবক্কর সিদ্দিকী) পণ্য বিক্রি বন্ধের বিষয়টি জানেনা। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশের পর গত ৪ জুন ২০২০ থেকে ১৯ জুন ২০২০ আমরা ৫ দিন টিসিবির পণ্য বরগুনায় বিক্রি করেছি। তবে টিসিবিএর পণ্য বিক্রি বন্ধের বিষয়টি স্যারকে জানাইনি কারণ টিসিবিএর পণ্য বিক্রি সময় ডিসি অফিসের পিয়ন জাহিদ ভাই থাকে সে পণ্য বিক্রির বিষয় জানে ।
বরগুনায় টিসিবির পণ্য বিক্রি তদারকি করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যেট মো.আবুবক্কর সিদ্দিকী তার কাছে ১০ দিন পর্যন্ত টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধের কারণ জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে প্রতিবেদকে জানান, বন্ধের বিষয়টি আমি জানি, তবে কি কারণে বন্ধ সেটা টিসিবির ডিলার আমাকে জানায়নি।
কি কারণে বন্ধ চাল বিক্রি বন্ধ এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাকির হোসেন তালুকদার প্রতিবেদকে জানান, বরগুনা খাদ্য গুদাম ওসিএলএসডি জেলে থাকায় খাদ্য গুদাম বন্ধ। দায়িত্ব বুঝিয়ে নেওয়ার পর চাল বিক্রি শুরু হবে। জেলা দূর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি রফিক উদ্দিন আহম্মেদ বলেন বন্ধ রাখাটা ঠিক না । এটা অনিয়ম হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করা দরকার। জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন,বন্ধের বিষয়টি আমি জানিনা। তবে জেনে বলতে পারবো।
Leave a Reply