আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কুকুয়া গ্রামে প্রতিপক্ষকে হত্যার উদ্দেশ্যে গত ২৬ জুন শুক্রবার রাতে ঘরে আগুন দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা । এ ঘটনায় ৩ জনকে আসামী করে আমতলী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভূক্তভোগী মো. নেছার উদ্দিন মোল্লা।
থানায় দাখিল করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কুকুয়া গ্রামের মো. নেছার উদ্দিন মোল্লা এর সাথে একই গ্রামের মো. খোকা হাওলাদার এর সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে মো. নেছার উদ্দিন মোল্লাকে তার পরিবারসহ হত্যার উদ্দেশ্যে গত ২৬ জুন শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার সময় তার ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় মো. খোকা হাওলাদারের নেতৃত্বে কয়েকজন দুস্কৃ তিকারীরা। এ অগ্নিকান্ডে মো. নেছার উদ্দিন মোল্লার বসত ঘরটি সম্পূর্নরূপে ভষ্মীভূত হয়। মো. নেছার উদ্দিন মোল্লা এ সময় বাড়িতে না থাকায় প্রতিবেশীদের ডাক চিৎকারে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। এ সময় মনোয়ারা বেগম এর হাতে থাকা টর্চ লাইটের আলোতে আসামীদের দেখতে পায়। তখন মনোয়ারা বেগম ও প্রতিবেশীরা ডাক চিৎকার দিলে আসামীরা পালিয়ে যায়।
ওই দিন রাতেই খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং ঘটনাস্থল থেকে পেট্টলের বোতল উদ্ধার করেন।
অগ্নিকান্ডে পুরে যাওয়া ঘড় মালিক মো. নেছার উদ্দিন মোল্লা জানান, ‘আসামীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা আমাকে খুনের উদ্দেশ্যে বাড়ি আসে। আমাকে না পেয়ে ঘরে আগুন দিয়েছে। ওই দিন আমি বাড়ি ছিলাম না। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
অভিযুক্ত মো. খোকা হাওলাদার বলেন,‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয় এবং আমরা এ ধরণের কোন ঘটনার সাথে জড়িত না।’
কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম তালুকদার বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটা খুবই দুখ:জনক ঘটনা। আমি তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্ত মো. নেছার উদ্দিন মোল্লা কে নগদ ২ হাজার টাকা অর্থিক সাহায্য দিয়েছি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে অইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply