স্টাফ রিপোর্টার : বরগুনা শহরের আমতলার পারে গত ১০ জুন একটি ঘরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঘরটির মালিক আব্দুর রাজ্জাক চাপরাশি। ঘরটিতে একটি ফ্যামিলি ভাড়া থাকে।
ঘটনার দিন আনুমানিক রাত ১ টা ৩০ মিনিটে প্রতিবেশী নাজমুল হাসান পলাশ (২৮) আগুন লাগার গন্ধ পান এবং উৎস খুঁজতে খুঁজতে প্রতিবেশীর বাসায় গিয়ে দেখতে পান, সেখানে আগুন জ্বলছে এবং একটি লোক পালিয়ে যাচ্ছে। তিনি লোকটি ধরার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। তিনি বলেন, “হোঁচট খেয়ে পড়ার কারণে আমি ওকে আর নাগাল পাই নাই”।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, ঘরের মালিক আব্দুর রাজ্জাক চাপরাশি বরগুনা সদর থানায় একটি দরখাস্ত করেন এবং বরগুনা সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর হৃদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আগুন লাগার ঘরটির বাসিন্দা খাদিজা বেগম জানান, যখন আগুন দেওয়া হয় তখন সে তার স্বামী এবং মেয়ে ঘরের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। পাশের বাসার ডাক শুনে তারা ঘুম থেকে জাগে। খাদিজা বেগম বলেন, “চোহে ঘুম, দেহি তো দুইকুলে আগুন দেছে, হেকালে তো বেদিক হইয়া গেছি”। তিনি আরো জানান, তার মেয়ে যে ঘরটিতে থাকতো তার সামনে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বরগুনা শহরে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই, অগ্নিকাণ্ড ঘটার পাশের বাড়িতে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে থাকে। অগ্নিকাণ্ডের পাশের বাড়িতে থাকা নাজমুল হাসান পলাশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কিছুদিন পূর্বে তাদের বাথরুমের ড্রামের পানিতে কে বা কারা মরিচ মিশিয়ে দেয়, জাল কেটে পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়, এমনকি তাদের বাসার কারেন্টের মিটারের তারে আগুন লাগানো হয়। এরূপ পরিস্থিতিতে আগুনলাগা ঘরটি এবং তাদের প্রতিবেশীর মধ্যে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, কানাই মোল্লা (মৃত) ওয়াকফ এস্টেট ও নুরু মিয়ার মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থেকেও উক্ত ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a Reply