মোঃ জাহিদুল ইসলাম (বেলাল) : হুমকিতে পরেছে তালতলীর ড়শুভ সন্ধ্যার ঝাউবন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র তলের উচ্চতা বাড়ায় উজার হচ্ছে বরগুনার তালতলী উপজেলার সম্ভাবনাময় ‘শুভ সন্ধ্যা’ সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বর্ধনকারী ঝাউবন।
জোয়ারের তীব্র স্রোতে সৈকতের কোল ঘেঁষা ঝাউ গাছের নিচ থেকে বালু সরে যাওয়ায় উপরে পড়েছে ৩ কিলোমিটার এলাকার ঝাউ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এসব গাছ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার নলবুনিয়া একায় বিশাল বালুভূমিতে একদিকে ঝাউবন সঙ্গে বঙ্গোপসাগর ও তিন নদীর মোহনা। এখনে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় সুর্যাস্ত। প্রকৃতি প্রেমীরা এখানে এসে যেন হারিয়ে যায়।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে সাবেক ইউএনও বদরুদ্দোজা শুভর নাম অনুসারে সৈকতটির নামকরণ করা হয় ‘শুভ সন্ধ্যা’। এরপর বেশি সময় লাগেনি এটা পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নিতে।
প্রতি বছর এখনে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় জোছনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসব ঘিরে লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। তাছাড়া প্রতিদিন দেশ, বিদেশ থেকে হাজারও পর্যটক আসতো। ইতোমধ্যেই পর্যটন এলাকার রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে।
শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, ঘুর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এ সৈকতটির। তাছাড়া জোয়ারের পানির কারণে ঝাউ গাছের নিচ থেকে বালু সরে যাওয়ায় বিভিন্ন প্রজাতির শত শত গাছ উপড়ে পড়ে আছে। এভাবে ভূমিক্ষয় অব্যাহত থাকলে এ পর্যটন এলাকা দ্রুত বিলুপ্ত হবে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে অপরদিকে পর্যটক শূন্য হয়ে যাবে সম্ভাবনাময় এই সৈকতটি।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদ-নদী, জলাশয় ভরাট, পানি দূষণ ও বৃক্ষ নিধনের কারণে বিষিয়ে উঠছে চারপাশের পরিবেশ। যা ত্বরান্বিত করছে জলবায়ুর পরিবর্তনকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যেসব ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তার সিংহভাগ এড়ানো সম্ভব যদি মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে সহযোগিতা করতো, দায়িত্বশীল আচরণ করতো। আমাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন অপরিকল্পিত আয়োজন আমাদেরই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। কাল বিলম্ব না করে তাই এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
তালতলী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা নয়ন মিস্ত্রি বলেন, প্রতি বছরই বর্ষা ও জোয়ারের স্রোতে ভাঙছে ঝাউ বাগান। বাঁধের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের, তাদের কাছে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। আশা করছি, তারা একটা ব্যবস্থা নেবেন।
Leave a Reply