মোঃ জাহিদুল ইসলাম (তালতলী প্রতিনিধি) : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। তালতলী উপকূলের সাগর ও পায়রা নদী সংলগ্ন অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ঝুঁকিতে রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের আতঙ্ক থাকলেও সাগর ও নদী পাড়ের জেলে পল্লী মানুষের নেই সচেতনতা। উপকুলের মানুষকে রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখতে চারটি টিম গঠন করা হয়েছে খোলা রাখা হয়েছে উপজেলার ৫০টি সাইক্লোণ সেল্টার। সাগর ও নদীতে মাছ ধরা ট্রলার, নৌকা ও মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে সোমবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।
তালতলী ঘুর্ণিঝড় কর্মসূচী অফিস সুত্রে জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় আম্ফান পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ১০ কিলোমিটার দুরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। উপকুলীয় অঞ্চল তালতলীতে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগর ও নদী সংলগ্ন মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকাসহ জেলেদের নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সেচ্ছাসেবকগনকে । ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্র ঘুর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। উপকুলের মানুষকে সচেতন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার সাগর ও পায়রা নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাহিরে অন্তত লক্ষাধীক মানুষ ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের ঝুঁকিতে রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে উপকুলীয় এলাকায় প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম বিরাজ করছে।
জানাগেছে, এ উপজেলার সাগর ও পায়রা নদী সংলগ্ন পচাঁকোড়ালিয়া , ছোটবগী, মৌপাড়া, গাবতলী, চরপাড়া, তালতলী, খোট্টারচর, তেঁতুলবাড়িয়া, জয়ালভাঙ্গা, নলবুনিয়া, ফকিরহাট, নিদ্রাসকিনা ও আমখোলাসহ উপকুলের অধিকাংশ এলাকার সাইক্লোণ সেল্টারগুলো ঝুুঁকিপূর্ণ।
তালতলী ফকিরহাট বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান এই মুহুর্তে সাগরে ফকির হাটের অন্তত দুই শতাধিক মাছ ধরা ট্রলার রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব থেকে রক্ষায় ওই সকল মাছ ধরা ট্রলার ও জেলে নৌকা কিনারে নিরাপদে আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া সাগর পাড়ে জেলেদের নিরাপদে আনতে ইউনিয়ন পরিষদের সেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, উপকুলীয় এলাকায় তেমন সাইক্লোণ সেল্টার না থাকায় সাগর সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাহিরে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ ঝুঁকিতে বসবাস করছে।
Leave a Reply