মোঃ আসাদুজ্জামান (সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার) : বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সদ্য যোগদান করা এক মেডিকেল অফিসারের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বরগুনা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক সোহারাব হোসেন চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আসোলেশনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাঁর সংস্পর্শে ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রেখেছে।এতে চিকিৎসা সেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না বলে জানায় কতৃপক্ষ।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানায়, আক্রান্ত মেডিকেল অফিসার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ১২ মে যোগদান করেছেন। ১৩ মে হাসপাতাল কতৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ বরিশালের ল্যাবে পাঠান ।শুক্রবার রাতে তাঁর নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আসে। এতে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়। ওই মেডিকেল অফিসার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।এর আগে ১৪ মে এই হাসপাতালে একজন সিনিয়ার ষ্টাফ নার্স করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং ২৫ এপ্রিল বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক মেডিকেল অফিসার করোনায় আক্রান্ত হন।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, আক্রান্ত মেডিকেল অফিসারকে আইসোলেশনে আইসোলেশনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।এছাড়াও তার সংস্পর্শে থাকা তার মা ও অপর এই ব্যক্তিদে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য পাঠানো।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন আক্রান্ত চিকিৎসক তিন দিন আগে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যোগদান করেছেন। তাকে আসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।তার সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলায় আজ পর্যন্ত ৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ১৬, আমতলী উপজেলায় ১১, বামনা উপজেলায় ৯, বেতাগী উপজেলায় ৩ ও পাথরঘাটা উপজেলায় ২ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং ২ জন মারা গেছেন। গত ৯ এপ্রিল প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় বরগুনায়। এরপর থেকে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৮ এপ্রিল বরগুনা জেলা প্রশাসক বরগুনা কে লকডাউন ঘোষণা করেন।
So sad