জুলহাস : বরগুনায় আলোচিত বরগুনার সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের পশুয়া গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ভাতিজা খোকন সর্দারের উপর্যুপরি আতুড়ের আঘাতে চাচা মজিবর সর্দার(৪৫) নিহত হয়।
পরে মৃত্যু মজিবুর রহমানের পরিবার বরগুনা থানায় সাত জনের নামে একটি মার্ডার মামলা দায়ের ঐ। মামলার
আসামিরা হলেন, ০১। ফরহাদ ০২।খোকন ৩।জাকির ৪।ছত্তার ৫।ছেন্টু ৬।রহিম ৭।ছোবাহান
পরে আসামীদের মধ্যে এক, তিন, চার ও পাঁচ নং আসামিদের পুলিশ গ্রফতার করেন। অজ্ঞাত সহ বাকিরা পলাতক রয়েছে।
মৃত্যু মজিবুর রহমানের মেয়ে বলেন, আমার বাবাকে মেরে ফেলার পর আমরা এখন অসহয় হয়েছি। আমার মা অসুস্থ তাকে কে দেখবাল করবে। আর আমার ছোট একটা ভাই ওর লেখাপড়া খরচ কিভাবে চালাবো। আমাদের যারা এতিম করেছে ষড়যন্ত্র করে যারা আমাদের বাবাকে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাসি চাই। সঠিক বিচার চাই।
মজিবুর সরদারের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে আমার ছেলে মেয়েদেরকে যারা এতিম করেছে আমি তাদের,সঠিক বিচার চাই। এখন আমি কিভাবে আমার ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে সংসার চালাবো এবং তাদের লেখাপড়ার খরচ চালাবো।
উল্লেখিত,গত মঙ্গলবার বরগুনার সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের পশুয়া গ্রামে মোবাইল ফোন কে কেন্দ্র করে ভাতিজা খোকন সর্দারের উপর্যুপরি আতুড়ের আঘাতে চাচা মজিবর সর্দার(৪৫) নিহত হয়।
স্হানীয় গ্রামবাসী জানায়,২ মাস পূর্বে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মজিবর ও খোকনের মধ্য বিরোধ সৃষ্টি হয়। আজ দুপুরে মজিবর বাড়ীর টিউবওয়েলে গোসল করতে গেলে মোবাইল চুরির জের ধরে চাচা ভাতিজার মধ্য কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে খোকন উপর্যুপরি মজিবরের মাথায় আদুড় দিয়ে আঘাত করলে মজিবর জ্ঞান হারায়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
বরগুনা সদর থানার ওসি আবির মাহমুদ বলেন, থানায় এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। মামলা অন্তর্ভূক্ত আসামীদের মধ্যে ১/৩/৪/৫নং আসামি আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
Leave a Reply