জুলহাস: বরগুনায় ৭ বছরের কন্যা সন্তানকে গাছের সাথে বেধে মেয়েকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মাকে গনধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২২ এপ্রিল) গৃহবধূ তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি পিরোজপুর জেলাদিন মঠবাড়িয়া উপজেলার শাপলেজা গ্রাম থেকে পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর গ্রামে খালাবাড়ি রওনা দেয়। শশুর বাড়ি থেকে পাথরঘাটা খেয়া পাড়হয়ে তালতলী শুভসন্ধ্যা ঘাটে পৌছায়। সেখান থেকে ভাড়ায় চলিত মোটরসাইকেল নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাটে রওনা করে। মোটরসাইকেল ড্রাইভার তাদেরকে নিয়ে নির্জন জঙ্গলে দিকে যায়। সেখানে নিয়ে এলাকার কয়েকজন বকাটে মিলে সন্তানকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে মাকে গণধর্ষণ করে।
গৃহবধূ জানায় সকাল ৮ টার দিকে শশুর বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে পাথরঘাটা পৌছায়। পাথরঘাটা থেকে নৌকা পাড়হয়ে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভসন্ধ্যা ঘাটে নামি। তারপর এক মোটরসাইকেল ড্রাইভারের সাথে নিশানবাড়ীয়া খেয়াঘাট যাওয়ার চুক্তি করি। মোটরসাইকেল ড্রাইভার আমাকে নিশানবাড়ীয়া খেয়াঘাট না নিয়ে বাগানের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার সঙ্গীয় আরেক মোটরসাইকেল ড্রাইভার ও তার সঙ্গে থাকা আরও পাঁচজন লোক মোবাইলে ডেকে আমার মেয়েকে গাছের সাথে ওড়না দিয়ে বেঁধে গলায় ছোরা ধরে। মেয়েকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। তিনি আরও বলেন, তারা আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। আমার জ্ঞান ফেরার পরে ওই জায়গা থেকে একবাড়িতে এসে একটু পানি খেতে চাইলে গ্রামবাসী কেউ আমাকে একটু পানি পর্যন্ত দেয়নি। তারপর ওই এলাকার কয়েকজন লোক পাশেই ট্রলার মেরামত করতেছিল তারা আমাকে একটি মোটরসাইকেল ভাড়া করে দেয় আমি আমার খালা বাড়ি চলে আসি। আমার মামলা করার মত তেমন কোন টাকা পয়সা নেই তাই আমি থানায় মামলা করতে যাইনি। আপনারা সাংবাদিক আমি আপনাদের মাধ্যমে আইনের হাতে ঘটনার কঠোর বিচার চাই।
এঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সেলিম, দুলাল হোসেন, লিটন মোটরসাইকেল ড্রাইভার হাবিব, চা দোকানদার কবির সাংবাদিকদের জানান, আমরা শুনেছি যে একজন মহিলা তার মেয়েকে নিয়ে শুভ সন্ধ্যা থেকে নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাট যাবে, কিন্তু মোটরসাইকেল ড্রাইভার জহিরুল নিশানবাড়ীয়া না-নিয়ে শুভ সন্ধ্যার গভীর জঙ্গলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে, শুনেছি জহিরুলের সঙ্গে আছিল এমাদুল, সোহাগ, নজরুল, সাইদুল।
এব্যাপারে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ভিক্টিম নিজেই থানায় এসেছে , ভিক্টিমের জবানবন্দি নিয়েছি এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply