এম.এস রিয়াদঃ নভেল করোনায় প্রতিটি জেলায় জেলায় চলছে করোনার দৈনিক আপডেট ও ভালো-মন্দের গণনা। কোয়ারেন্টাইন, হোম কোয়ারেন্টাইন, হোম আইসোলেশন ও মৃত্যুর ফলাফল গুনছে স্বাস্থ বিভাগ। সচেতনতার অভাব এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী। স্বাস্থ বিভাগের স্বাস্থ বার্তা তথা সরকারের দেয়া ঘোষিত আইন হাওয়ায় গুলিয়ে দিচ্ছেন কিছু অসচেতন মানুষ।
সোমবার (২৭এপ্রিল) বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে বরগুনা জেলা সদরে বর্তমানে হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছে ৬১ জন, আমতলীতে ১শ’ ৭০ জন, পাথরঘাটায় ৪০ জন, বেতাগীতে ৭৭ জন, বামনায় ২৩ জন ও তালতলীতে ৩৯ জন। সর্বমোট হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন ৪শ’ ১০ জন। অপরদিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন ১০০ শয্যা বিশিষ্ট বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন, বরগুনা সদরে ৩৬ জন, আমতলীতে ১২ জন, পাথরঘাটায় ১৮ জন, বামনায় ২ জন ও তালতলীতে ১৯ জন। সর্বমোট ৮৯ জন। বর্তমানে সর্বমোট কোয়ারান্টাইনে ৪শ’ ৯৯ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে ১০ জন ও হোম আইসোলেশনে ১৪ জন রয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ২ জন। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৮২ জনের। প্রাপ্ত ফলাফল পাওয়া গেছে ৪শ’ ২০ জনের। যার মধ্যে পজেটিভ এসেছে ৩০ জনের।
বরগুনায় করোনা রোগিদের ভরসার স্থল জেনারেল হাসপাতালের একমাত্র মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও করোনা চিকিৎসায় প্রশিক্ষণপাপ্ত ডা. কামরুল আজাদ (এফসিপিএস)। তিনি আড়াইশ বেডের নতুন ভবনে নিজ উদ্যোগে সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন শাহীন খান ও হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব উদ্দীনসহ অন্যান্য স্বাস্থ বিভাগ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় করোনা ওয়ার্ড চালু করে করোনা রোগিদের পাশে থেকে সুস্থ করার প্রত্যাশায় ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। ইতোমধ্যে যার ফলপ্রসূ হিসেবে চারজন রোগি বাড়ি ফিরেছেন।
তাই চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সাধারণ মানুষ একটু সচেতন হলেই শূণ্য কোঠায় আসতে বাধ্য হবে করোনা নামক এই মহামারি।
Leave a Reply