মোঃ আসাদুজ্জামান : বরগুনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও দু’জন করোনা আক্রান্ত রোগী। এখন পর্যন্ত ৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
রবিবার সকাল দশটার দিকে বাড়ি ফিরেছেন, ঢলুয়া ইউনিয়নের খাকবুনিয়া গ্রামের রাব্বী ও বুড়িরচরের মাইঠা গ্রামের আমির হোসেন।
রাব্বী মোংলা থেকে করোনা নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় গত ১১ এপ্রিল তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় ১৭ এপ্রিল তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। চিকিৎসা শেষে পরপর ২ বারের পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ এসেছে। রাব্বীর সাথে তার স্ত্রীকেও জেনারেল হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেননা। রবিবার স্বামী-স্ত্রী দুজনই একত্রে বাড়ি গিয়েছেন।
আমির হোসেন অসুস্থ হয়ে বাড়ি এসেছেন ঢাকা থেকে। তিনিও রবিবার বাড়ি ফিরেছেন। তবে তার বাবা করোনা রোগী হিসেবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল রায়ভোগের সেলিম তালুকদার ও আঙ্গারপাড়ার হিরন খান সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আরও ২ জনের দ্বিতীয় পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছে। তারা হচ্ছেন, বামনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ওবায়দুল কবির দুলাল ও বরগুনা কেজি স্কুল সড়কের আবুল বাশার। প্রথমবারের পরীক্ষায় তাদের করোনা পজেটিভ এসেছে।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সোহরাব উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আবারও তাদের নমুনা পাঠানো হয়েছে। তৃতীয়বার করোনা নেগেটিভ আসলে তাদের সুুস্থ ঘোষনা করা হবে।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ূন শাহিন খান জানিয়েছেন, বরগুনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে মারা গেছেন ২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ জন। বাকীরা চিকিৎসাধীন। গতকাল নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, ৭ জন। যাদের মধ্যে একজন ডাক্তার, ৩ জন শিশু, দু’জন নারী। বাকী একজন মধ্যবয়সী পুরুষ।
বরগুনায় করোনা রোগীদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। এখন পর্যন্ত বরগুনা সদর উপজেলায় ১২ জন, বামনায় ৬ জন, আমতলীতে ৭ জন, বেতাগীতে ৩ জন ও পাথরঘাটায় ২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
Leave a Reply