এম.এস রিয়াদঃ মুক্তিযুদ্ধের এক লড়াকু বাহিনীর নাম বাংলাদেশ পুলিশ। যারা এই দেশ, দেশের মানুষকে রক্ষা করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো বাংলা মায়ের ইজ্জ্বত রক্ষা করতে, তথা দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে। শহীদ হয়েছিলো হাজারো পুলিশ সদস্য। দেশকে রক্ষা করতে আন্দোলন, সংগ্রামসহ প্রতিটি স্থানে যাদের পদচারণা থেকেই যায়। তাঁরা দেশের জনগণের কাছের মানুষ। জনগণের আস্থার একমাত্র স্থল। ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ, আপদ কিংবা বিপদে কখনোই পিছপা হয়নি। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সকল সদস্যরা। অন্য সকল বাহিনী থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকেন এই পুলিশ বাহিনী। কেননা একমাত্র পুলিশ বিভাগ সর্বদা মানুষের কাছে থেকে ভালো-মন্দ উপলব্দি করে থাকেন। যেকোন সমস্যার সমাধানও করে থাকেন।
শুরু থেকেই প্রতিটি দুর্যোগ বিপর্যস্ত মানুষের পাশে থেকে নিরলস কাজ করে যেতে দেখা গেছে এই পুলিশ সদস্যদের। তেমনি করে আজ দেশের এমন করোনা মহামারি থেকে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁরা। মাত্র কয়েক ঘন্টা নিজের পরিবারকে সময় দিয়ে বাকি ঘন্টাগুলো কাটিয়ে দেয় জনগণের দেখভাল করতে। কিঞ্চিৎ পরিমানেও ভালোবাসার ত্রুটি না করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে থাকেন সবসময়। আবার মন্দ কাজে শাসন করতেও দ্বিধাবোধ করেন না। কেননা যিনি ভালোবাসতে জানেন, একমাত্র তাঁরই শাসন করার অধিকার থাকে।
চীনের উহান প্রদেশ থেকে ধেয়ে আসা নভেল করোনা (কোভিড-১৯) এর প্রভাব প্রকোপ আকারে শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। দেশের মানুষের স্বাস্থ সুরক্ষায় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ বিভাগকেও দেখা গেছে করোনার লক্ষ্যণ ও এর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে করণীয় বিষয় সমূহ সাধারণ মানুষকে ধারণা দিতে। করোনার প্রকোপ কিছুটা বেড়ে যাওয়ার কারণে সামাজিক দুরত্বতা ও শারিরীক স্পর্শতা বজায় রাখা নিশ্চিৎ করতে ব্যপকভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ বিভাগ।
অন্যদিকে, এমন মহামারি পরিস্থিতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী জনগণের ক্রয় স্বামর্থের মধ্যে রয়েছে কিনা, সেই সাথে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও করোনা থেকে প্রাথমিক রক্ষার সরঞ্জামাদি আমাদানি হচ্ছে কিনা, সে সম্পর্কে খোঁজ-খবর করে যাচ্ছেন পুলিশ বিভাগ।
এমন সহনশীল ও সাহায্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন বরগুনা পুলিশ বিভাগ। জেলা প্রশাসন থেকে বরগুনাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবুও অসেচতনভাবে যারা অযথাই ঘোরাঘুরি করে থাকেন, তাঁদেরকে করোনার বিপদজনক দিকগুলো ধারণা দিয়ে ঘরে ফেরানোর কাজ করে যাচ্ছেন বরগুনা পুলিশের সদস্যরা। পুরো বরগুনা ঘুমিয়ে গেলেও ঘুমাননা এই পুলিশের অক্লান্তকর্মা সদস্যরা। যেখানেই ঘটনা, সেখাই মুহূর্তের মধ্যে হাজির হয়ে সমাধানের পথ চলেন তাঁরা।
বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, জনগণের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। তাতে যত বড় দুর্যোগ কিংবা মহামারি আসুকনা কেনো। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি এমন করোনা বিপর্যস্ত মানুষের পাশে থেকে স্বাস্থ সুরক্ষা নিশ্চিৎ করতে আমরা পুলিশ বিভাগ সর্বদা সচেষ্ট থাকব এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply