হাফেজ মুফতি জাহিদুল ইসলাম বেলালঃ আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, যে মদ পান করে তার পাকস্থলীতে ধ্বংসাত্মক ব্যাধির সৃষ্টি হয়। এমনকি তার পাকস্থলী প্রায় অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে তার ক্ষুধা লাগে খুব কম। সে জন্য তাকে অল্প আহারে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তাই দিন দিন পুষ্টিহীনতায় ভুগতে হয়। শরীর শুকিয়ে যায়, ওজন কমে যায়, যক্ষ্মা রোগের সৃষ্টি হয়। কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হয়। বার্ধক্য ত্বরাণ্বিত করে, যৌনশক্তি লোপ পায় হার্ট এটাক ও স্ট্রোক হয় ফুসফুসের ক্যানসার হয় গ্যাস্ট্রিক আলসার হয় অনেক দুরারোগ্য ব্যাধি মদের কারণে দেখা দেয়। * * হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী (স.) মদের সাথে সংশ্লিষ্ট দশ ধরনের লোককে অভিসম্পাত করেছেন। তারা হল-১। মদ প্রস্তুত কারী, ২।পরামর্শ দাতা, ৩।পানকারী, ৪।বহনকারী, ৫।যার জন্য বহন করা হয়, ৬।পরিবেশনকারী, ৭।বিক্রেতা, ৮।মূল্যভোগী,৯। ক্রেতা,১০। যার জন্য ক্রয় করা হয় (তিরমিযী)। * মদ পানকারী জান্নাতে যাবে না (ইবনু মাজাহ)। * প্রত্যেক নেশা মাদক, প্রত্যেক মাদক হারাম (ইবনু মাজাহ)। * তিনি আরো বলেছেন- বেশী পরিমাণ গ্রহণে যাতে নেশা হয় তার অল্প পরিমাণও হারাম (ইবনু মাজাহ)। ** আল্লাহপাক বলেছেন- তোমরা নিজেদের ধ্বংসের পথে নিবে না (সূরা: আরাফ, আয়াত- ১৫৯) হে ইমানদারগন! মদ,জুয়া প্রতিমা, লটারী,এসবই শয়তানের অপবিত্র কাজ।তোমরা উহা হতে বিরত থাক আশা করা যায়,তোমরা সফলতা অর্জন করতে পারবে।(সূরা মায়িদা ৯০) ধূমপান, তামাক, গুল ইত্যাদি মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, জীবন বিধ্বংসী এবং আসক্তি সৃষ্টি হয়, অর্থের অপচয় হয়, তাই বর্তমানে অধিকাংশ ওলামার মতে এগুলোও হারাম। মদ হারাম হওয়ার সাথে সাথে নবী (স.) সাধারণত যে সকল পাত্রে মদ প্রস্তুত ও পরিবেশন করা হত সেগুলো অন্য কাজের জন্য ব্যবহারও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
লেখকঃ ইমাম ও খতিব বরগুনা কালেক্টরেট (ডিসি) কোর্ট জামে মসজিদ ও ধর্মীয় শিক্ষক কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ বরগুনা।
Leave a Reply