ফাতিমা জান্নাত জুইঃ বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইন দ্বিতীয় রাউন্ড উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৩ টায় সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সিভিল সার্জনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আবদুস সালামের সভাপত্বিতে সভায় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা সদর হাসপাতালের সদ্য যোগদানরত মেডিকেল অফিসারবৃন্দ। এছাড়া সিভিল সার্জেন অফিসার ও সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাগন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন সহ বরগুনায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ। বরগুনা জেলার পরিসংখ্যানে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১৩,৪১৭ জন ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১,০৩.০৩৩ জন। স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ৮টি, অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ৯১২টি, অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্র ৫টি, মোট টিকাদান কেন্দ্র ৯২৫টি, স্বাস্থ্য সহকারী ১৭২ টি,পরিবার কল্যাণ সহকারী ১৯০টি, মোট মাঠ কর্মীর সংখ্যা ৪৭৯জন, অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবক ১,৩৭১ জন ও জেলায় দূর্গম ইউনিয়নের সংখ্যা ১৫টি। সিভিল সার্জনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা.মোহাম্মদ আবদুস সালাম জাতীয় ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে বলেন, ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ ক্যাম্পেইনের দুটি অংশ রয়েছে একটি হলো ছোট শিশুদের নীল রঙ্গের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো এবং অন্যটি হলো অবিভাবক যারা রয়েছে তাদেরকে স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয়া এর মূল উদ্দেশ্য। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙ্গের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল রঙ্গের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়া মায়েরাও স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতন হবে। ভিটামিন এ অভাবে রাতকানা রোগ হয়। রাতকানা রোগ,ডায়রিয়া,হাম ও পুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো উচিত। সারা বাংলাদেশে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মূল উদ্দেশ্য শিশুর মৃত্যুহার রোধ করা। পাশাপাশি মাতৃ মৃত্যুহারও কমবে। এছাড়াও মাকে হলুদ ফল, সবুজ শাক সবজি খাওয়ানোর কথাও তিনি বলেন।
Leave a Reply